ঢাকা, সোমবার, ৪ঠা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরীক্ষামূলক সম্প্রচার

সরকার রোহিঙ্গাদের ঘর দেয়, আর আমাদের উচ্ছেদ করে

‘সরকার রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি দেয়, জায়গা দেয় আর আমাদের উচ্ছেদ করে। রোহিঙ্গাদের জায়গা দিতে পারে, কিন্তু আমাদের দিতে পারে না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও কোনো সুযোগ-সুবিধা পাই না। আমরা গরিব, নদী ভাঙনের কারণে এখানে এসে আশ্রয় নিছি। আমাদের আর থাকতে দিল না। এখন পোলাপান নিয়া কই যামু।’

কথাগুলো বলছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে রেলের জায়গায় গড়ে ওঠা বস্তির বাসিন্দা লাভলি বেগম। নদী ভাঙনের পর বাচ্চাদের নিয়ে যে বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে সে বস্তি ভেঙে দিলে কষ্টে তিনি এ কথাগুলো বলেন।

রেলের অভিযানে ৩০ বছর পর কয়লাঘাট এলাকার রেলের বস্তি উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় সেখানে গড়ে ওঠা সেমিপাকা, টিনশেড ও ঝুপড়ি মিলিয়ে অর্ধশতাধিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছেদের পর সেখানে বসবাসকারীরা পথেই যায়গা করে থাকার ব্যবস্থা করেন।

বসবাসরত খাদিজা, মোস্তফা ও আমির হোসেন গাজী বলেন, আমরা পৌরসভার ভোটার হয়েও কোনো সুযোগ-সুবিধা পাই না। আজকে রেল আমাদের উচ্ছেদ করে দিয়েছে। আমরা কোথায় থাকব। রেলেও প্রচুর সম্পদ আছে, আমাদেরকে কোথাও থাকার ব্যবস্থা করে দিক। না হলে অসহায় মানুষগুলো কোথায় যাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার শামস মো. তুষার, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) কমান্ডার সত্যজিৎ দাম, রেলওয়ে থানার ওসি মুরাদ হোসেন বাহার, আরএনবি সিআই ইয়াসিন, সিআই অস্রশাখার রেজওয়ান, রেলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী মজুমদার, কারোঙ্গ লাকসাম কাউসার আহমেদ, চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ, চাঁদপুর বিদুৎতের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হারুন, স্টেশন মাস্টার শোয়াইবুল শিকদার।

সর্বশেষ - চাঁদপুর

জনপ্রিয় - চাঁদপুর