স্টাফ রিপোর্টার : ভাই ফোটা উৎসব। এই উৎসবের পোষাকি নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান। কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে (কালীপূজার দুই দিন পরে) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিনে উদ্যাপিত হয়। মাঝেমধ্যে এটি শুক্লপক্ষের ১ম দিনেও উদ্যাপিত হয়ে থাকে। অনেক স্থানে এই উৎসব ভাইদুজ নামেও পরিচিত। সেখানে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন। এ উৎসবটি অঞ্চল বেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত।
চাঁদপুরের ৮টি উপজেলার এ উৎসবটি ঘরোয়া পরিবেশে পালিত হয়েছে। ঘরে ঘরে ভাই-বোনদের মধ্যে আর্শিবাদ ও আনন্দের বন্যায় মেতে উঠেছে। বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে এ উৎসবটিতে বিভিন্ন জায়গায় একটু ভাটা পড়েছে। চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল ঘোষ জানান, এ উৎসবটি প্রাচীন কাল থেকে চলমান। এ উৎসবে বোনেরা ভাইদেরকে ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী আর্শিবাদ করে। এ উৎসবে বোনেরা অনেক যত্ন সহকারে ভাইদের হাতে রাখি বন্ধন বাধে এবং এর পরিপেক্ষিতে সকল ভাইয়েরা তাদের বোনদের বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে খুশি রাখে।
ভাইফোঁটা মন্ত্র :
ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥