৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাত শিক্ষার্থী ও তাদের গর্বিত বাবা-মাকে ফুল দিয়ে বরণ এবং মিষ্টি মুখ করিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ।
সোমবার (০১ নভেম্বর) রাতে ওসি ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল ফুল, ফল ও মিষ্টি নিয়ে উত্তীর্ণদের বাড়ি বাড়ি যান এবং কৃতি শিক্ষার্থী ও তাদের বাবা-মাকে অভিনন্দন জানান।
ওই সাত শিক্ষার্থী হলেন- হাজীগঞ্জ বলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া আক্তারের বড় মেয়ে সুমাইয়া বিনতে কবির, একই এলাকার উত্তম কুমার সাহার ছেলে রাজিব কুমার সাহা (অন্তু), টোরাগড় বদরপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে নুরুন নবী জুয়েল, ৩ নং কালচোঁ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে মাহাদীয়ে বাশার, বাকিলা ইউনিয়নের চতন্তর গ্রামের সিরাজ উদ দৌলার ছেলে ফাহিম রায়হান শুভ, মকিমাবাদ এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আবু জাফর মজুমদারের মেয়ে মাগফেরাতুন্নেছা উর্মি এবং ৭ নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুুর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র সাহার মেয়ে শান্তা সাহা।
৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সুমাইয়া বিনতে কবির বলেন, বিসিএসে ডাক্তার নিয়োগে সরকারের ঘোষণার পর থেকে আমার আগ্রহ জাগে কিছু করার। এরপর আমি পড়াশোনা শুরু করি। টানা কয়েকমাস সবকিছু বাদ দিয়ে পড়াশোনা করতে থাকি। এজন্য কোথাও চাকরি করিনি, বাইরে বেরও হয়নি। আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। পরীক্ষার নম্বর হয়তো কম কিন্তু তার জন্য অনেক পড়াশোনা করতে হয়েছে। অনেক রাত জাগা আর পরিশ্রমের ফলে আলহামদুলিল্লাহ আমি সফল হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি আগে ভালো মানুষ হতে চাই। তাহলে ভালো ডাক্তার হতে পারব। আমি তরুল প্রজন্মকে বলব, তোমরা যা করো মন থেকে করো। সৎ থাক তাহলেই সফল হবে। আমি আমার সাধ্যমতো গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করব।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ৪২তম বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য খাতে এক উপজেলার সাতজন উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গৌরবের। বিষয়টি জেনে আমি খুবই খুশি হয়েছি। তাই নিজ থেকে তাদের প্রত্যেককে অভিনন্দন জানাতে মিষ্টি ও ফুল নিয়ে তাদের বাড়িতে গিয়েছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খালেকুজ্জামান শামিম, প্রচার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিফাত, সদস্য মনিরুজ্জামান বাবলু প্রমুখ।