ঢাকা, সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বনানী সিনহার কবিতা

কুৎসিত

বনানী সিনহা

দেখে এলাম ও বাড়িতে জন্মেছে এক কন্যা

কুৎসিত কালো, কেন যে নাম রেখেছে স্বর্ণা?

কি করে যে দেবে বিয়ে এমন মেয়েকে

সারা জীবন মন্দ কথা শুনবে যে সে

বাবা মার বড় মুছিবত এমন মেয়ের জন্যে

মেয়ে ঝিবুত সুন্দরী চায়, নেবে যখন অন্যে।

চোঁখের জল লুকায় শুধু আমার জননী

মিষ্টি হেসে বুঝাতে চায় বড় কঠিন ধরণী।

জমি জমা সব গেল আমাকে দিতে বিয়ে

সুখ কি পেরেছে দিতে যৌতুকের টাকা দিয়ে?

স্বামী আমার মনের নয়, জৈবিক তৃষ্ণা মেটায়

প্রহসন করে সবে যায় যেখানে যেথায়।

প্রাণ স্বামী খুজে ফেরে সুন্দর একটি মুখ

ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ নিয়ে খুজে চলি সুখ।

নেয়না স্বামী কোথাও,ওযে তাহার সনে

লোকের সামনে যেতে বারণ আদেশ যে মনে।

করেনি ক্ষমা ভেঙ্গেছিলাম যেদিন চায়ের পেয়ালা

যোগ্যতাই নেই শুনিয়ে,কেড়েছিল অন্ন সেবেলা।

পৃথিবীতে বেচে আছি অবহেলার সাগর সহে

হার ভাঙ্গা শ্রম করেই চলি সুখ পাখিটা কো হে?

মুখটি আমার চায়না দেখতে আমারি আপনজন

দিনে দিনে দিন চলে যায় আসেনা তো শুভক্ষণ।

বাপের বাড়ি শশুর বাড়ি নেইকো নিজো বাড়ি

থাকতে চাই কটাদিন সুখে সমাজ সংসার ছাড়ি ।

চাইনি আমি এমন কালো বিধি আমার বা

পারতাম যদি দেখাতে হৃদয় তোমরা দিতে দাম।

বছর খানেক যেতে না যেতেই হলাম আমি মা

কালো নিয়ে এলো মেয়ে পারিনি করতে না।

কাঙ্ক্ষিতা তোর নাম রেখেছি ওরে লক্ষ্মী মেয়ে

পুনরাবৃত্তি রুখবো আমি কোন ভুবনে যেয়ে ?

রচিত – ১লা অক্টোবর, নিউইয়র্ক।

সর্বশেষ - পাঠক

জনপ্রিয় - পাঠক