ভোজ্যতেলের বাজার এখন টালমাটাল। এই সুযোগে রাজশাহীর অসাধু ব্যবসায়ীরা উঠেপড়ে লেগেছে আখের গোছাতে। এক ব্যবসায়ী বোতলের গায়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ঘষে মুছে ফেলেছেন। আরেকজন মজুদ নেই জানিয়ে সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন। কেউ নিচ্ছিলেন বাড়তি দাম। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বাড়তি দাম নেওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অন্য দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে জরিমানা।
বুধবার (২ মার্চ) সকাল থেকেই নগরীর লক্ষ্মীপুর, ঘোষপাড়া মোড়, উপশহর নিউ মার্কেট ও সাগরপাড়া এলাকাজুড়ে চলে এই বিশেষ অভিযান।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে সয়াবিন তেল বিক্রি করছিল নগরীর উপশহর নিউমার্কেট এলাকার মেসার্স এস আলম ট্রেডার্স। এই ঘটনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া কেরোসিন দিয়ে ঘষে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য মুছে দিয়েছিল নগরীর ঘোষপাড়া মোড় এলাকার রাম স্টোর। পরে সেই তেল বিক্রি করছিল বাড়তি দামে। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে নগরীর সাগরপাড়া এলাকার রাজশাহী কিচেন বাজারকে। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও ভোক্তার কাছে তেল বিক্রি বন্ধ রেখছিল।
অভিযান চলাকালে বাড়তি মূল্যে মাংস বিক্রির দায়ে নগরীর লক্ষ্মীপুর বাজারের তরিকুল মাংস ঘরকে ৩ হাজার টাকা, মোড়কজাত পণ্যে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য না থাকায় একই এলাকার মারুফ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ জানান, হাতেনাতে অপরাধ ধরা পড়ায় এইসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে এসব এলাকার ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টাও ছিল। জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।