চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী সাধারণ ক্রেতাদের ৪ কোটি টাকা ও স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, বেশিরভাগই হচ্ছে স্বর্ণ বন্ধকী রাখার বিপরীতে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ । এছাড়া রয়েছে স্বর্ণ দিয়ে জিনিস তৈরির স্বর্ণ ও মুজুরির টাকা।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনন্যা জুয়েলার্সের মালিক নিখিল চন্দ্র কর্মকার উপজেলা সদরের সুনামধন্য স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছেন দীর্ঘদিন ব্যবসার মাধ্যমে।
সম্প্রতি এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে হটাৎ গাঁ ঢাকা দেয় নিখিল কর্মকার।
এতে তার কাছে থাকা ফরিদগঞ্জের মানুষের প্রায় দুই কোটি টাকার স্বর্ণ ও নগদ প্রায় ২কোটি টাকা জমা রয়েছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলঅ সদর বাজারসহ দু‘চারটি দোকান ছাড়া বাকী স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ডিলিং লাইসেন্স নেই বলে জানাযায়। আর একই কায়দায় নিখিল কর্মকার এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ৪ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
ক্রেতা আমির হোসেন নয়ন জানান, আমি ৪.৩ স্বর্ণ বন্ধক রেখেছি ৮হাজার টাকা সে অন্য দোকানে সেটা দশ হাজার টাকা লাগিয়ে টাকা নিয়ে চলে গেছে। অপর এক ক্রেতা মাও: রেদোয়ান উল্যাহ জিনিস তৈরির জন্য ১ ভরি স্বর্ণ ও মুজুরির টাকা দিয়ে বেশ ক‘সপ্তাহ খোঁজ নিলে দেই দিচ্ছি করে এরই মধ্যে পালিয়ে যায়।
এভাবে শত শত গ্রাহকের কাছ থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণ বন্ধক রেখে প্রায় ৪ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফারুক বলেন, কিছু স্বর্ণ বিভিন্ন দোকানে বন্ধক রেখে গেছে নিখিল কর্মকার। আমরা চেষ্টা করছি কিছু গ্রাহককে স্বর্ণ বন্ধক থেকে উদ্ধার করে দেওয়ায় জন্য।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতি আরও ৭ জন বাজারের ব্যবসায়ী মানুষের মোটা অংকের টাকা নিয়ে অন্যত্র পালিয়েছে। এরা হলো, মাছ ব্যবসায়ী লক্ষ্মী নারায়ণের ছেলে স্বপন চন্দ্র দাস মাছ বাজার থেকে আনুমানিক ৮০লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়েছে। ভূপাল চন্দ্র দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে।
ঔষধ কোম্পানিতে দায়ীত্বে থাকা সমিরন চন্দ্র দাস ৯৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে ।
ঔষধ ব্যবসায়ি দুলাল চন্দ্র দাস স্বপন মজুমদার, বিকাশ রঞ্জন চক্রবর্তী। পালিয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
থানা পুলিশ বলছে, যত ব্যবসায়ী উধাও হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।