ঢাকা, বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে খেঁজুর গাছের ৭টি ডাল

ফরিদগঞ্জের ১৪নং দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব পোঁয়া গ্রামের খাসের বাড়ীতে একটি খেঁজুর গাছের পীঠে দৃশ্যমান ৭টি খেঁজুর গাছ। এটিকে ভুতুরে কান্ড ভেবে প্রতিদিনই লোকজন গাছটি এক নজর দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন। সরেজমিনে গেলে গাছের মালিক  সৈয়দ আহাম্মদ বলেন, আমরা এই খেঁজুর গাছটি থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই রস সংগ্রহ করছি। এ গাছটির বয়স প্রায় ১৭/১৮ বছর এমন হবে। ৪/৫ বছর পূর্বে গাছটির থেকে ১টি শাখা খেঁজুর গাছ বের হয়। এর পরপরই এর মগডালে ৭টি খেঁজুর গাছ দৃশ্যমান হয়। একটি খেঁজুর গাছে ৭টি দৃশ্যমান মগডাল তাও এতো দ্রুত সময়ে এটিকে ভুতুরে কান্ড বলা যায়। এরমধ্যে গত বছর মগডালের ২টি খেঁজুর মারা গেলে ভয়ে আমরা ওই গাছটির খেঁজুরের রস সংগ্রহ বন্ধ করে দেই। বর্তমানে ওই মগডালে ৫টি খেঁজুর গাছ দৃশ্যমান রয়েছে।

গাছটি দেখতে আসা মামুন হোসাইন নামের একজন উৎসুক জনতা বলেন, একটি খেঁজুর গাছের পীঠে ৭টি খেঁজুর গাছ দৃশ্যমান এটি শুনেই গাছটি দেখতে এসেছি। এসে দেখি ঘটনা সত্য এবং গাছটির ৭টি মগডালের প্রতিটিতেই আলাদা পাতা রয়েছে। তবে ৭টি শুনলেও ২টি খেঁজুর গাছ মরে শুকিয়ে ছিলো। তবে ১টি খেঁজুর গাছে যা যা থাকার দরকার তা সবই রয়েছে গাছগুলোতে। এতে ব্যাতিক্রমী এই খেঁজুর গাছটি দেখতে সুন্দর লাগলেও এটি রহস্যময় মনে হচ্ছে। শুনেছি এ বছর এই গাছ থেকে ভয়ে খেঁজুরের রস সংগ্রহ করা হয়নি।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ জানান, খেঁজুর গাছের ওই দৃশ্যটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। আমরা বলবো খেঁজুর গাছের এটি একটি বংশগত জেনেটিক সমস্যা। হরমোনজনিত কারণে এক বীজপত্রি উদ্ভিদে একাধিক শাখা-প্রশাখা হতে পারে। এটা নিয়ে ভয় বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

সর্বশেষ - ফরিদগঞ্জ

জনপ্রিয় - ফরিদগঞ্জ