ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৮ মাস পর ‘খুনি শনাক্ত’ হলেও পরিচয় মেলেনি লাশের

পুলিশ জানায়, লাট্টুস চাকমার ভাষ্য অনুযায়ী, নিহত ব্যক্তির পরিচয় লাট্টুস নিজেও জানেন না। শুধু এটুকু জানেন, তিনি আম ব্যবসায়ী। হত্যাকাণ্ডের দিন তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়। পুলিশও পরিচয় এখনো শনাক্ত করতে পারেনি।

২০১৯ সালের ১০ আগস্ট রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কোতোয়ালি থানার কল্যাণপুর পেট্রলপাম্পের পাশে একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর পুরো শরীর থেঁতলানো ছিল। এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। প্রথমে লংগদু থানা-পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে লংগদু রনচ্ছড়া এলাকার দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গল থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আসামি লাট্টুস চাকমাকে আটক করা হয়। লংগদু থানা-পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাইনিং জোনের আওতাধীন রাঙ্গাপানিছড়া সেনা ক্যাম্পেরÿসহযোগিতায় বিশেষ অভিযানে তাঁকে ধরা হয়। পরে আসামি লাট্টুস চাকমা এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে জব্দ করা হয়।

নাজমুল হাসান আরও বলেন, আদালতে হাজির করা হলে খুনের বর্ণনা দিয়ে আসামি জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে লাট্টুস বলেন, নিহত ব্যক্তি আম ব্যবসায়ী ছিলেন। ঘটনার দিন ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে একসঙ্গে ভাত খান দুজন। খাবারের বিল দেওয়ার সময় লাট্টুস মনে করেছিলেন তাঁর কাছে বেশি টাকা আছে। সেই ধারণা থেকে আসামি তাঁকে (আম ব্যবসায়ী) রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার কল্যাণপুর এলাকার আসবাবের দোকানে থাকার জন্য প্রস্তাব দেন। পরে রাতে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে লাট্টুস খুন করেন ওই ব্যবসায়ীকে। হত্যার পর তাঁর কাছে পান চার হাজার টাকা। পরে লাট্টুস দুজন সহযোগীকে নিয়ে লাশটি একটি ডোবায় ফেলে দেন, যাতে কেউ সন্দেহ না করেন। এরপর লাট্টুস রাঙামাটি শহর ছেড়ে লংগদু চলে যান।

সর্বশেষ - Uncategorized

জনপ্রিয় - Uncategorized