গীতিকার মেহবুবুল হাসান রাসেলের (রাসেল ও’নীল) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর ওই কক্ষ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
লাল কালিতে বড় অক্ষরে ‘জরুরি’ শিরোনামে ওই সুইসাইড নোটটি লেখা রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেহ দায়ী নয়। আমি স্বেচ্ছায় আত্মহনন করলাম। এর সাথে কাওকেই (কাউকেই) জড়িত করা যাবে না। এবং আমার দেহের কোনো পোস্টমর্টেম হবে না।’
নোটের শেষে ‘রাসেল ও‘নীল’ লিখে শেষে এই গীতিকারের সই করা রয়েছে। সুইসাইড নোটের হাতের লেখা যে গীতিকার রাসেলের, সে বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
তবে ওই নোটের সত্যতা নিশ্চিত হতে এবং আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ খুঁজতে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গীতিকার মেহবুবুল হাসান রাসেলের বাসা থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
ওসি বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন লিচু বাগান এলাকার নিজ বাসা থেকে গীতিকার মেহবুবুল হাসান রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি রাসেল ও’নীল নামে পরিচিত ছিলেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে তেজগাঁও থানার ওসি জানান, রাতের খাবার শেষে নিজের রুমে যান মেহবুবুল হাসান রাসেল। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পরিবারের অন্য সদস্যরা ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ।
‘দিন বাড়ি যায়/ চড়ে পাখির ডানায়’—এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা রাসেল একসময় সাংবাদিকতায়ও যুক্ত ছিলেন। পরে সাংবাদিকতা ছেড়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় যুক্ত হন। গানের পাশাপাশি অসংখ্য বিজ্ঞাপনের জিংগেলও লিখেছেন তিনি। তার লেখা অধিকাংশ গানই দলছুট এবং বাপ্পা মজুমদারের গাওয়া।