ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২০১৪ সালে এভিয়েশন শিল্পের ভঙ্গুর সময়ে যাত্রা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এটি ১৫০ জন থেকে বর্তমানে ১৫ হাজার কর্মীর প্রতিষ্ঠান। এভিয়েশন শিল্পের বিকাশে সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা করেন তিনি।
দেশীয় বিমানে যাতায়াত করার আহ্বান জানিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলাদেশি পাইলটরা বিশ্বের সেরা পাইলট। বর্তমানে ইউএস-বাংলার সব এয়ারক্রাফট নতুন। বিশ্বের প্রথম সারির কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সেবা দিয়ে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। দেশীয় বিমানগুলো ভালো সেবা দিচ্ছে। আপনারা দেশীয় বিমানে ভ্রমণ করুন। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে প্রতিষ্ঠানটির নতুন ফ্লাইটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান। দুপুর আড়াইটার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন এই ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব আলী বলেন, শিল্প উন্নয়ন আর নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে রংপুর বিভাগের আট জেলার মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা চিন্তা করে সৈয়দপুর থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে ফ্লাইট পরিচলানা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এজন্য তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ইউএস-বাংলার এই উদ্যোগ পর্যটনের বিকাশে অনেক অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ট্যুরিজম ও এভিয়েশন শিল্পের বিকাশে বর্তমান সরকার কাজ করছে। বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার। যাত্রীসেবার মানের প্রশ্নে আপস না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মাহবুব আলী বলেন, বিমানের যাত্রীসেবার সামান্য ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পর্যটনের বিকাশে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে। এই বিমানবন্দর থেকে বিশ্বের সব দেশে যাওয়া যাবে। এই বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে নানা শিল্প ও পর্যটন কর্মযজ্ঞ গড়ে উঠবে।
সপ্তাহে তিন দিন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার এই দুই রুটে ইউএস-বাংলার বিমান চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করবে। সব ধরনের ট্যাক্স ও চার্জসহ জনপ্রতি ন্যূনতম ওয়ানওয়ে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০০ টাকা।
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ বাণিজ্য ও শিল্পসমৃদ্ধ শহর সৈয়দপুর। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক যাত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করে। ইতোমধ্যে সরকার সৈয়দপুরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এই বিমানবন্দরকে ভবিষ্যতে চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরিত করে এখান থেকে বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নীলফামারীর পুলিশ সুপার মেহাম্মদ মোখলেসুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আক্তার জাহান বেবি প্রমুখ।
