বগুড়ার মেধাবী মুখ মেফতাউল আলম সিয়াম। এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন তিনি।
এর আগে রেকর্ড নম্বর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানবিষয়ক বিভিন্ন বিভাগ-ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটেও প্রথম স্থান অধিকার করেন সিয়াম।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে প্রকাশিত ফলাফলে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে মেফতাউল আলম সিয়াম বুয়েট ভর্তিতে শীর্ষস্থান দখল করেন। এখন বুয়েটে পড়াশোনা করে গবেষক হতে চান তিনি এমনটাই জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যদের কাছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে সিয়াম। তার বাবা একটি বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিন ছেলের মধ্যে সিয়াম সবার বড়।
সিয়াম ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। তার ছোট দুই ভাই যমজ। এই দুই ভাই মোবাশ্বির আলম সানি ও মুনজির আলম সামি বর্তমানে বগুড়া জিলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তারাও পড়াশোনায় বেশ মনযোগী।
সিয়ামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হন বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ লাভ করেন। অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ ও জেনারেল বৃত্তি পান। সেখান থেকেই এসএসসি পাস করেন। এসএসসিতে তিনি জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান।
এরপর সিয়াম এইচএসসিতে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হন। সেখানেও তিনি মেধার স্বাক্ষর রাখেন। জিপিএ-৫ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান।
গত ৩ নভেম্বর (বুধবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সিয়াম এই পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের মধ্যে ১১৭ দশমিক ৭৫ নম্বর পান। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯৪ হাজার ৫০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৬৫ জন (পাসের হার ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ফেল ৮৯ দশমিক ২৪ শতাংশ)। ‘ক’ ইউনিটের এই ভর্তি পরীক্ষা হয়েছিল গত ১ অক্টোবর।
তার আগে গত এপ্রিল মাসে প্রকাশিত মেডিকেলের সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ২৮২ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়ে ৫৯তম হন সিয়াম। এর আগে মার্চে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভর্তি পরীক্ষাতেও প্রথম হন তিনি।
মেফতাউল আলম সিয়াম বলেন, আমি বুয়েটেই ভর্তি হবো। বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে পড়তে চাই। ওই বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা করার পরিকল্পনা আছে। আমি গবেষক হতে চাই, এটা আমার স্বপ্ন।
সিয়ামের বাবা খোরশেদ আলম বলেন, আমি ছেলের সাফল্যে আনন্দিত। তার ইচ্ছাতেই আমি পড়াতে চাই। সে আগামীতে নিজের মেধা দিয়ে দেশের জন্য কাজ করবে এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।