১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে সড়ক পথে পাক বাহিনী মতলবে আসে এবং থানা দখল তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে। তারা মতলবের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। পাক বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোশররা রাজাকারের সহায়তায় এনায়েতনগর গ্রামে প্রায় ৫ হাজার ঘড়-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং বহু নারীর সম্ভ্রম কেড়ে নেয়। তখন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কবির আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা মতলবের খিদিরপুর, বহরী, বাগান বাড়ি, মোহনপুর ও এনায়েতনগর এলাকায় ৫টি ঘাটি তৈরি করে পাক হানাদার বাহিনীর মোকাবেলা করে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা দখলদার পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে লালার হাট,বোয়ালমারি,বরদিয়া এবং নাগদাসহ আরো কয়েকটি স্থানে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধা এবং সর্বস্তরের জনগনের প্রবল প্রতিরোধের মুখে অবশেষে ৪ঠা ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নদী পথে মতলব ছাড়তে বাধ্য হয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মতলবে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
মতলব মুক্তদিবস উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারো বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মতলব দক্ষিণ উপজেলা কমান্ড নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সকাল ৯টায় বিজয় ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ৯.১৫ মিনিটে দ্বীপ্ত বাংলা পাদদেশে পুস্পস্তবক অর্পন, ৯.৪৫ মিনিটে দ্বীপ্ত বাংলা থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি। বিজয় ভবনে আলোচনা সভা।