নবান্ন উৎসব আমাদের সংস্কৃতির বড় একটা অংশ : ডিসি অঞ্জনা খান মজলিশ
গান, কবিতা আড্ডায় চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির নবান্ন উৎসব উদযাপিত
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জোড় পুকুর পাড়স্থ সাহিত্য একাডেমি মিলনায়তনে বাউল ও লোকগান, কবিতা আবৃত্তি, সাহিত্য আসর এবং আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে এ উৎসব উদযাপিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির সভাপতি অঞ্জনা খান মজলিস।
তিনি বলেন, নবান্ন উৎসব আমাদের সংস্কৃতির বড় একটা অংশ। নবান্ন আমাদের উৎসব, পিঠা উৎসব। আমাদের নতুন প্রজন্মকে এ জিনিসটাকে জানাতে হবে। অনেক ছোট ছোট শিশুরা তারা এ উৎসব সম্পর্কে জানে না। আমাদের পরের প্রজন্মকে আমাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানে না। এজন্য আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। আমরা যা কনি তার ফল ভোগ করতে হবে। আমরা সবসময়ই চিন্তা করি আমার সন্তানকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে কিন্তু ভালো মানুষ হতে হবে এটা আমরা শিক্ষা দেই না। প্রকৃতির সাথে তাদেরকে মিশাতে হবে। না মিশালে তারা প্রকৃতিকে ভালোবাসবে না। সন্তানকে আমাদের কাছাকাছি রাখতে হবে। সাহিত্য সম্পর্কে তাদেরকে সচেতন করতে হবে এবং শিক্ষা দিতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, সাহিত্য একাডেমি যেন আবার আগে মত চালু হবে তার জন্যে আজকের এই সুন্দর আয়োজন। আমি চাই সংস্কৃতির বিকাশ হোক। চারিদিকে শুধু নেগেটিভ জিনিস দেখছি কিন্তু ভারো কাজ যে হচ্ছে মা তাতের সামনে আনতে হবে। আমরা একসাথে হয়েছি নবান্ন উৎসব পালন করবো। একা একা কোন উৎসব পারিত হয় না। একা একা ভালো থাকা যায় না। সকরের সন্তানেরা সংস্কৃতির সাথে মিশবে এটাই আমার আশা।

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির মহাপরিচালক ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাতের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন, ঢাকা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কাশেম মো. জহিরুল হক, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জহিরুল হক, সহকারী অধ্যাপক সাইদুজ্জামান। সংগীত পরিবেশন করেন, চাঁদপুর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আলমগীর হোসেন বাহার।
লেখক ও গবেষক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, দৈনিক শপথ পত্রিকার সম্পাদক কাদের পলাশ, ছড়াকার খান ই আজম, কবি ইকবাল পারভেজ, দৈনিক সুদিপ্ত চাঁদপুর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এম আর ইসলাম বাবু, কবি মুখলেসুর রহমান ভূঁইয়া হ অন্যান্য কবি লেখকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বাউল ও লোকগান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এছাড়াও কবিতার আবৃত্তি, গল্প রচনা পাঠের মধ্যদিয়ে সাহিত্য আসরে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠে।
এছাড়াও নবান্ন বিষয়ক কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতাে ৯ জন বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ প্রদান করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
সার্বিক সমন্বয়ে ছিলেন নবান্ন উৎসব উদযাপন কমবটির যুগ্ম আহবায়ক আশিক বিন রহিম, ফরিদ হাসান ও সদস্য সচিব ম নূরে আলম পাটওয়ারী।