ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তের কর্তারপুরে বুধবার দেখা গেল এক আবেগময় দৃশ্য। শৈশবে দেশভাগের সময় দাঙ্গায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দুই ভাইয়ের দেখা মিললো দীর্ঘ ৭৪ বছর পর। দেখা মিলতেই একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরে ভেঙ্গে পড়লেন কান্নায়। তাদের ধারণা ছিল, অন্য ভাই হয়তো আর বেঁচে নেই।
৭৮ বছর বয়সী হাবিব থাকেন ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে। আর ৮০ বছর বয়সী মোহাম্মদ সিদ্দিক পাকিস্তানি পাঞ্জাব প্রদেশের ফুরগান গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন তারা। মোহাম্মদ সিদ্দিক জানান, ভারতের পাঞ্জাবে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে তার মা-বাবা ভয় পেয়ে পাকিস্তানে চলে আসেন।
দুই বছর আগে কানাডার একজন শিখ সমাজকর্মীর কাছ থেকে জানা যায়, তারা দুজনই বেঁচে আছেন। এরপরই তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এ সাক্ষাতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। পাকিস্তান শাসিত পাঞ্জাবের রাভি নদীর তীরের কর্তারপুর করিডরে তারা দেখা করেন। শিখ ধর্মের পবিত্র স্থান হিসেবে এই জায়গাটি ভিসামুক্ত রেখেছে দুই দেশ।
খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন বলছে- পাকিস্তানের কর্তারপুরে দুই ভাইয়ের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। সেই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। সেখানে দেখা যায়, দুই ভাইয়ের এই সাক্ষাতে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এ সময় এমন পদক্ষেপের জন্য কর্তারপুরের প্রশংসা করেন হাবিব। তিনি বলেন, কর্তারপুর করিডোরের কারণে আমাদের দুই ভাইয়ের দেখা হয়েছে।
হাবিব তার ছোট ভাইকে বলেছেন এই করিডোর দিয়ে তারা দেখা-সাক্ষাৎ অব্যাহত রাখবেন।
প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকরা কর্তারপুর পর্যন্ত ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পান।