ঢাকা, সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ টাকা খরচ করায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ইয়ামিন হোসেন (৮) নামে এক শিশুকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা গ্রামের বৃত্তিপাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের নাতি এবং একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে। ইয়ামিন কানাইডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পরিবারের সদস্যরা জানান, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর থেকে শিশু ইয়ামিন ও তার বড় ভাই ইমন আলী কানাইডাঙ্গা গ্রামে নানাবাড়ির কাছেই থাকতো। শনিবার দুপুরে সহপাঠী ও বড় ভাই ইমনের সঙ্গে খেলছিল শিশু ইয়ামিন। এ সময় অভিযুক্ত জাহিদ হাসান শিশু ইয়ামিনকে ৩০ টাকা দিয়ে মুড়ি কেনার জন্য পার্শ্ববর্তী দোকানে পাঠায়। ইয়ামিন ২০ টাকার মুড়ি কিনে বাকি থাকা ১০ টাকা খরচ করে ফেলে। পরে জাহিদ বাকি টাকা চাইলে ইয়ামিন দিতে না পারায় তাকে পার্শ্ববর্তী মুজিবরের আমবাগানের একটি আমগাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।

এতে ইয়ামিনের বড় ভাই ইমন ভয় পেয়ে বাড়িতে গিয়ে তার নানাকে বিষয়টি জানায়। এর মধ্যেই জাহিদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশু ইয়ামিনের গলা কেটে মরদেহ পাশের গর্তে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে নানা-নানিসহ পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির পাশে ইয়ামিনের গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল রানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মুড়ি কেনার পর অবশিষ্ট ১০ টাকা খরচ করায় শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযুক্ত জাহিদকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ - জাতীয়সারাদেশ

জনপ্রিয় - জাতীয়সারাদেশ