স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে এবারের ২১ ফেব্রুয়ারি একটু ভিন্নভাবে এসেছে। ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান জানানোর জায়গা ছিলো উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহিদ মিনার, কিছু স্কুল কলেজের শহিদ মিনার এবং বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একদিনের জন্য নির্মিত অস্থায়ী শহিদ মিনার। ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পরেও চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ২৩৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ছিল না শহীদ মিনার। এর মধ্যে ১৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শহিদ মিনার ছিলো না। গত তিন মাস পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যদের সাথে আলোচনায় বসেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে মতলব উত্তরের কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় শহিদ মিনার বিহীন থাকবে না। এই উদ্যোগ গ্রহণের ফলে স্থানীয় জনসাধারণের অর্থায়নে ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক যোগে শহীদ মিনারের নির্মান কাজ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী মোঃ শরীফুল হাসানের নেতৃত্বে শুরু হয়। শুরুতে সবাইকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করা হয়। কিছু প্রতিবন্ধকতার উদ্ভব ঘটে। সম্মিলিত ভাবে সেগুলো সমাধান করা হয়। এই বিশাল কাজে সহায়তা করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইকবাল হোসেন এবং তার তিনজন এটিও যারা দিনরাত পরিশ্রম করে এই কাজটি শেষ পর্যায়ে আনতে পেরেছেন। এবার অধিকাংশ স্কুল তাদের নিজ নিজ শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। এই মাসের মধ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ সম্ভব হবে ইনশাল্লাহ। শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, মতলব উত্তর উপজেলার স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের প্রতি উপজেলা প্রশাসনের কৃতজ্ঞতা।