এবার ভারতের অরুণাচল প্রদেশে উত্তর সুবনসিরি জেলার সীমান্তরেখা (এলএসি) লঙ্ঘন করে ভারতীয় এলাকায় আস্ত একটি গ্রাম তৈরি করে ফেলেছে চীনের সেনাবাহিনী। একই অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগও। সংস্থাটির বার্ষিক রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীনের বিরুদ্ধে গ্রাম তৈরির অভিযোগ তুলে জানুয়ারি মাসেই খবর প্রচার করেছিল এনডিটিভিসহ একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এবার আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের বার্ষিক রিপোর্টেও একই দাবি করা হয়েছে।
তবে চীনের এই অবস্থানের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি ভারতের সেনাবাহিনী। এরইমধ্যে এসব কারণে ভারতের সামরিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক ভারতীয় নাগরিক।
এনডিটিভির প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছিল, তাসরি চু নদীর তীরে বানানো ওই গ্রামে প্রায় ১০১টি ঘর তৈরি করেছে চীনের সেনারা। বক্তব্যের সমর্থনে একটি উপগ্রহ চিত্রও প্রকাশ করা হয়েছিল। সেটি ২০২০ সালের ১ নভেম্বর তোলা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সেই সঙ্গে ২০১৯ সালের ২৬ অগস্টে ঠিক একই এলাকার একটি উপগ্রহ ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ছবিতে জঙ্গলাকীর্ণ নদীর তীরে জনবসতির কোনও চিহ্ন নেই।
চীন-ভারত সীমান্তের অচলাবস্থা নিয়ে একটি অধ্যায়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে, ২০২০ সালের কোনো এক সময়ে, তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিতর্কিত অঞ্চলে প্রায় ১০০টি বাড়িসহ একটি গ্রাম তৈরি করা হয়েছে।
অক্টোবর মাসে ইস্টার্ন আর্মি কমান্ড চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেন, অরুণাচল প্রদেশে চীন ‘দ্বৈত-ব্যবহার’ উপযোগী সীমান্ত গ্রাম নির্মাণ করে চলেছে। যা বসবাসের পাশাপাশি সৈন্যদের অবস্থানের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। গত বছরের একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। দাবি করা হয়, ওই এলাকার অবস্থান ভারতীয় ভূখণ্ডের সাড়ে ৪ কিলোমিটারের ভেতরে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে আরুণাচলের বিজেপি সাংসদ টাপির গাও অভিযাগ করেছিলেন, আপার সুবনসিরি জেলায় এলএসি পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে স্থায়ী কাঠামো বানাচ্ছে চীন।