ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণপুর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা কামরুল এহসান খান শান্তির প্রয়াণ দিবস

মুক্তিযোদ্ধা, নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং নারায়ণপুর বাজারের রূপকার কামরুল এহসান খান শান্তির ২৪ নভেম্বর ২য় প্রয়াণ দিবসে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
কামরুল এহসান খান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫৫খ্রি: সারপাড় গ্রামে। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। অত্র এলাকার নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেধাবী তালিকায় কৃতিত্বের সাথে এস.এস.সি পাশ করেন। তিনি চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন অতপর ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। তিনি ছাত্ররাজনীতিতে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি শেখ কামালের সাথে ছাত্র রাজনীতি করতেন। জনতার মঞ্চে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। ৯০এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন।
অজোপাড়াগাঁয়ে জন্মগ্রহণ করলেও এই প্রতিবাদী মানুষটি গ্রমের উন্নয়নের প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। ফলশ্রতিতে গ্রামের উন্নয়নের প্রতি তিনি মনোনিবেশ করেন বিধায় নারায়ণপুর বাজার তার প্রচেষ্টায় রূপ লাভ করেছে। ফলে গ্রামবাসীর কাছে তিনি আধুনিক নারায়নপুর বাজারের রূপকার নামে পরিচিত। তিনি উপলদ্ধি করেছিলেন গ্রামের পিছিয়ে পড়া অশিক্ষিত জনগণ কখনোই সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেনা।সুতরাং এই বিদ্যুৎসাহী ব্যক্তিত্ব গ্রামের কিছু সচেতন গ্রামবাসীকে নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন ‘নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজ’। শুরুতে এই কাজটি মোটেই সহজ ছিলনা। তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী। তাঁর নিজস্ব গরুর ফার্ম ছিল। তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠিত এই গরুর ফার্মটি তাঁর স্ত্রীর উৎসাহে গ্রামের উৎসাহী ব্যক্তিদের নিয়ে নিরলস সহযোগীতায় গরুর ফার্ম বিনষ্ট করে তার নিজস্ব জমিতে উক্ত স্থানে কলেজ প্রতিষ্ঠিত করেন।শুরুর গল্পটা ছিল এমন। এত বছর পর কলেজ এখন প্রতিষ্ঠিত এবং নিজস্ব ভবন রয়েছে। যা নারায়ণপুর বাসীর গর্ভ। কিন্ত কলেজের প্রতিষ্ঠার পেছনের ইতিহাস জানা দরকার বলে তাঁর সহধর্মীনি মনে করেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাঁর সহধর্মীনি বলেন- যে কলেজের প্রতিষ্ঠা এত কন্টকময়, সে কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে, সমাজে যেন তারা বিশেষ অবদান রাখতে পারে সে প্রচেষ্টা আমাদের সকলের থাকা উচিত।

সর্বশেষ - মতলব উত্তর

জনপ্রিয় - মতলব উত্তর