ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চোখ খুলে তাকালেও কথা বলতে পারছেন না রওশন এরশাদ

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তবে তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। ৭৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ মাঝেমধ্যে চোখ খুলে তাকাচ্ছেন। তবে কথা বলতে পারছেন না।

আজ রবিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রওশন এরশাদকে দেখতে হাসপাতালে যান ‘নিউ জাপা’র মহাসচিব ও এরশাদ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, রওশন এরশাদের অবস্থা ভালো নেই। তিনি কথা বলতে পারছেন না। বোঝা যাচ্ছে, খুব কষ্ট পাচ্ছেন। তবে আমাদের কথা তিনি শুনেছেন। রওশন এরশাদকে বিদেশে নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, বিদেশ নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। উনাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া পর সেচুরেশন ৯৬ তে আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছে- এই মুহূর্তে উনার শারীরিক যে অবস্থা তাতে বিদেশ নেওয়া সম্ভব নয়। শারীরিক অবস্থার আরেকটু উন্নতি হলে নেওয়া যেতে পারে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিউ জাপার কো-চেয়ারম্যান বিদিশা সিদ্দিক, এরশাদপুত্র শাহাতা জারাব এরিক এরশাদ। জাপা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট রওশন এরশাদের ফুসফুসে জটিলতা দেখা দেয়। পরে তার অক্সিজেন লেভেল কমতে শুরু করলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন বেশ কিছুদিন তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কেবিনে নেওয়া হয়। হাসপাতালে থাকাকালেই গত ২০ অক্টোবর আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্বিতীয় দফায় আইসিইউতে নেওয়া হয়। বর্তমানে ফুসফুসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন এই রাজনীতিবিদ।

জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ এর আগে ২৩ মে টানা ২৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন রওশন এরশাদ। দ্বিতীয় দফায় গত ১৪ আগস্ট থেকে টানা ৭০ দিনের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তিনি ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি সংসদে গত দুই মেয়াদে বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এরশাদের মৃত্যুর পর ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ রংপুর-৩ আসন থেকে উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ - রাজনীতি

জনপ্রিয় - রাজনীতি