স্টাফ রিপোর্টার : মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সারাদেশের ন্যয় চাঁদপুরে দুই সহস্রাধিক বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর ব্যাক্তিবর্গ দেশপ্রেম নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকলকে শপথ বাক্য পাঠ করান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসন মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্মরনীয় এই শপথ বাক্য পাঠের সার্বিক ব্যবস্থা করেন।
শপথ বাক্য পাঠের পূর্বে উপস্থিত সকলকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় পতাকা, একটি লাল ও সবুজ রঙের ক্যাপ, স্বাস্থ সুরক্ষার জন্য মাস্ক উপহার দেয়া হয়। একইসাথে শপথ বাক্যের লিখিত একটি ফটোকপি কাগজ সরবরাহ করা হয় প্রত্যেকের হাতে।
নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলার সাথে সাথে একত্রে শপথ গ্রহন করেন। এই শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকলকে ধন্যবাদ জানান।
শপথ বাক্য অনুষ্ঠান সার্বিকভাবে সফল করার জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ এর নেতৃত্বে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ দায়িত্ব পালন করেন। শীতকালীন বিকেলে খুবই মনোরম পরিবেশে এই শপথ বাক্য পাঠ সম্পন্ন হয়।
দুপুর ২টার পর থেকে শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর লোকজন স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন। তাদেরকে বিজয়ের এই দিনে বিনোদন দেয়ার জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় চাঁদপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক এম আর ইসলাম বাবু।
পুরো শপথ বাক্য পাঠ অনুষ্ঠান সফল করতে প্রশাসনের সকল কাজকে সহযোগিতা করেন জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিম লিডার ওমর ফারুকের নেতৃত্বে সদস্যবৃন্দ।
শপথ বাক্য অনুষ্ঠানে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওসমান গণি পাটওয়ারী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বোচ্ছসেবক লীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।