ট্রলিতে করে কিশোরকে জরুরি বিভাগ থেকে শয্যায় নেওয়ার পর চাহিদামতো বকশিশ না পেয়ে অক্সিজেন মাস্ক খুলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে বলে মৃত কিশোরের স্বজনদের অভিযোগ। ঘটনা খতিয়ে দেখতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে।
ওই কিশোরের নাম বিকাশ চন্দ্র কর্মকার (১৫)। অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খণ্ডকালীন কর্মচারী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তদন্ত কমিটি গঠনের খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ।
হাসপাতালের কর্মচারী আসাদুজ্জামান ট্রলি ঠেলে লিফটে করে বিকাশকে তৃতীয় তলায় পৌঁছে দেন। এরপর তিনি ২০০ টাকা বকশিশ দাবি করেন। আসাদুজ্জামানকে ১৫০ টাকা দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কর্মচারী রোগীর মুখ থেকে টেনে মাস্ক খুলে ফেলেন। ছটফট করতে করতে বিকাশ মারা যায়।
বিকাশের ছোট চাচা শচীন চন্দ্র কর্মকার এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, দুর্ঘটনায় আহত বিকাশের শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। এ কারণে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকাশের জন্য মুখে মাস্ক লাগিয়ে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন। এরপর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কার্যক্রম শেষে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ তাকে ট্রলিতে করে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় নেওয়া হয়। হাসপাতালের কর্মচারী আসাদুজ্জামান ট্রলি ঠেলে লিফটে করে তৃতীয় তলায় পৌঁছে দেন। এরপর তিনি ২০০ টাকা বকশিশ দাবি করেন। আসাদুজ্জামানকে ১৫০ টাকা দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কর্মচারী রোগীর মুখ থেকে টেনে মাস্ক খুলে ফেলেন। ছটফট করতে করতে বিকাশ মারা যায়।
হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, চার সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মনিরুজ্জামানকে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।