ঢাকা, সোমবার, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওরা ১১জন

মাছ কাটুরিয়া ওরা ১১ জন। চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ মাছের বাজারে জীবন সংগ্রাম। বিকেল ৩টায় বসে রাত ১০টা পর্যন্ত মাছ কাটা নিয়ে ব্যস্ত। ওরা ১১জন মাছের বাজারের এক কোনো নিজ নিজ গদি করে বসে। জনপ্রতি প্রতিদিন ইজারাদারকে ১৫০ টাকা করে দেন। বিনিময়ে এরা মাছ কেটে যা মূল্য পায় তা দিয়ে চলে তাদের জীবন সংসার। ৬ মার্চ রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাছ কাটুরিয়া শরীফ, খোরশেদ ও মজিবসহ ওরা ১১জন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মাছ কাটছে। তবে তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে। কেউ বেশি মাছ পেলে সহযোগীদেরকে ভাগ করে দেয়। মশার কামড়, আর ময়লা দুর্গন্ধে বসে কাজ করছে তারা। এক প্রতিক্রিয়ায় তারা জানান, করোনার শুরুর পূর্বে এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা প্রতিদিন রুজি করতাম। এখন আর ততবেশি করতে পারিনা। বাজারে আগত ক্রেতাদের উপর নির্ভর করে আমাদের রুজি-রোজগার। আর এখন দু মাস নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। সভাবতই এখন মানুষ বাজারে কম আসে, আমাদের মাছ কাটাও কম হচ্ছে। মাছের পাশাপাশি, মুরগি, কবুতর, হাঁস কেটে যা পাচ্ছি, তা দিয়েই চলে আমাদের সংসার। পৌরসভার ইজারাদার যদি আমাদের গদি প্রতি ১৫০ টাকার পরিবর্তে আরেকটু কম নিতো তাহলে ভালো হতো। আর আমাদের বসার স্থানে উপরে যদি চাউনি দেয়ার ব্যবস্থা করা হতো তাহলে বৃষ্টির সময় ভালো করে কাজ করতে পারতাম। এদিকে বিপনীবাগসহ ওয়্যারলেছ, পালবাজারেও মাছ কাটুরিয়ারা রয়েছে। এ ব্যাপারে চাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাজারের মাছকাটুরিয়ারা।

সর্বশেষ - চাঁদপুর

জনপ্রিয় - চাঁদপুর