ফরিদগঞ্জে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে এক যুবককে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৫ জনকে বিবাদী করে থানায় মামলা হলে পুলিশ প্রধান আসামীসহ ২ জনকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের গুপ্টি গ্রামের দত্তের বাড়িতে ৩ ফেব্রুয়ারি বৃস্পতিবার সন্ধ্যায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, অভিযুক্তরা ওই গ্রামের বিভিন্ন নিরীহ মানুষের সাথে কারণে অকারণে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে। শুধু তা-ই নয়, অভিযুক্তরা একই বাড়ির বাসিন্দা ভুক্তভোগী মোঃ সুজন ভাটকে বিভিন্ন সময় মারধর করে। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এসব অভিযোগে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপস্থিতিতে অভিযুক্তরা মুচলেকা ও অর্থদ- দিয়ে আপস মীমাংসা করে। এরই ধারাবাহিকতায় পুনরায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে পথিমধ্যে একা পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে। এতে ভুক্তভোগীর মাথায় মারাত্মক আঘাত লাগে। অভিযুক্তদের অতর্কিত হামলায় নিরীহ অটোরিকশা শ্রমিক সুজন মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে তার ডাকচিৎকারে আশপাশের মানুষজন এগিয়ে এসে ঘটনার দিন রাতেই ভিক্টিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ঘটনার শিকার সুজন বাদী হয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি ওই ঘটনায় মিজানুর রহমান মিজু (৪৫) ও তার আরো ৪ সহোদরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামীদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামী মিজানুর রহমান মিজু ও জসিম উদ্দিনকে আটক করে ৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্তরা জনবলে বেশি হওয়ায় ওই এলাকাতে নিরীহ মানুষের সাথে উশৃঙ্খল আচরণ ও কারণে অকারণে বিরোধ সৃষ্টি করে আসছে।
মামলা দায়ের ও অভিযুক্ত ২ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন।